Full-Width Version (true/false)

false

Saturday, July 14, 2018

এসপিএসএস কি, কেন এবং কিভাবে ব্যাবহার করবেন ব্যাবহারিক টিউটোরিয়াল-১ম পর্ব

v এসপিএসএস (SPSS) কি ?
এসপিএসএস কে বলা হয় Statistical Package for Social Science বা সংক্ষেপে SPSS
অর্থাৎ, এসপিএসএস হলো, সমাজ বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের তত্ব, তথ্য ও গবেষণা সংক্রান্ত কাজে ব্যাবহৃত পরিসংখ্যান সমূহের সেট বা প্যাকেজ ।
এটি IBM কোম্পানির একটি সফটওয়ার। 

এসপিএসএস টি পরিসংখ্যান না ! বরং পরিসংখ্যানের বিভিন্ন কাজ ও হিসাব-নিকাশ কে সহজ ও সুন্দরভাবে দ্রুততম সময়ে করা এবং সাজানোর একটি সফটওয়ারের নাম এসপিএসএস ।
সুতরাং এসপিএসএস হলো এমন একটি সফটওয়ারের নাম, যার সাহায্যে আমরা সমাজ ও শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা, জরিপ ইত্যাদি কাজে তত্ব, তথ্য ও উপাত্ত কে দ্রুত ও সুন্দরভাবে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সাজাতে পারি ।
যা আমাদের বিভিন্ন জরিপ হতে সংগৃহীত তত্ব, তথ্য উপাত্ত কে বিশ্লেষণ করে দ্রুত ও চাহিদা অনুযায়ী যায়গামত পরিবেশন করতে সহযোগিতা করে থাকে
সমাজ বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এসপিএসএস এর ব্যাবহার জানা জরুরী
Øএসপিএসএস ব্যাবহার করে আমরা কি কি করতে পারি ?
-         জরিপ ও গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষনে পরিসংখ্যান এর জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে সহজেই এবং এসপিএসএস এর বিভিন্ন কমান্ড ব্যাবহার করে তত্ব-উপাত্ত কে বিশ্লেষণের পর সঠিক ফলাফল আমরা দ্রুতই পেতে পারি ।
যারা সমাজ বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশুনা করেন বা কর্মক্ষেত্রে আছেন, তাদের অনেক সময়ই বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, রিপোর্ট তৈরী, কেস স্টাডি সহ নানাবিধ বৈজ্ঞানিক পন্থায় বিভিন্ন রিপোর্ট ও গবেষণা পত্র তৈরী করতে হয়, এসপিএসএস শিখলে ও এর ব্যাবহার করলে, আপনার রিপোর্ট ও গবেষণার ফলাফল হবে আরো নিঁখুত, এবং আরো সহজেই এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপান করতে পারবেন আরো দ্রুত ।
চলুন, তাহলে দেরী না করে আমরা প্রথমে এসপিএসএস এর সাথে প্রথমে পরিচিত হয়ে নেই, এবং ধারাবাহিকভাবে এর ব্যাবহার শিখতে থাকব। 
 যারা ভিডিও দেখতে চান না, তারা চাইলে ভিডিও না দেখেও ছবি দেখে এবং নিচের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করেও SPSS শিখতে পারেন । 
যাইহোক, যখন এসপিএসএস প্রোগ্রাম টি ডাউনলোড করে ইন্স্টল করবেন, 
এসপিএসএস সফটওয়ারটি ডাউনলোড করতে চাইলে এসপিএসএস এর কোম্পানি IBM হতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন । 
লিংক: 
সফটওয়ার টি ইন্সটল শেষে যখন ওপেন করবেন তখন, এমন একটি
spreadsheet দেখতে পাবেন
এই শিট টিকে বলা হয় ডাটা ভিউ  এই শিটে আমরা তথ্য উপাত্ব প্রবেশ করাব বা ইনপুট করব
-       আর যে সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বা vari করে আমরা তথ্য ইনপুট করব, সে সকল বিষয়ের শিরোনাম গুলো আমরা ভ্যারিয়েবল ভিউতে লিখব।  এবং সেখান থেকে আমরা সেগুলোর প্রয়োজনীয় কন্ট্রোল করতে পারব ।
যেমন ধরুন, কোন একটি গবেষণার জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থীদেরকে বাছাই করা হয়েছে, এখন এই শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা ডাটা কে সুবিন্যস্ত করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা এই স্প্রিডশীটে একটি প্রতিষ্ঠানের ডাটা ইনপুট করব এবং তার উপর কাজ করব । 

আমরা একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর একটি স্প্রিডশিট তৈরী করব ।  তাহলে এখন আমরা চলে যাচ্ছি ভ্যারিয়েবল ভিউতে   এখানে আমরা কি কি পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে তথ্য ইনপুট করব তা লিখব


একটি বিষয় মনে রাখা দরকার যে, ভেরিয়েবল ভিউ তে ডাটা ইনপুটের অপশন গুলো বসানোর যে শিরোনাম তা লিখার ক্ষেত্রে অক্ষর লিখার পূর্ব স্পেস রাখা যাবে না, শুন্য দিয়ে শুরু করা যাবে না ।  আবার এ ঘরে ২ বা ততোধিক শব্দ বসানোর ক্ষেত্রে মাঝে ফাঁকা রাখা যাবে না ।  তাহলে যদি দুই বা ততোধিক শব্দ লিখতে চান তাহলে মাঝে_টি ব্যাবহার করবেন ।



যেমন ধরুন আমরা ডাটা ইনপুটের ১ম অপশনটি দিব নাম লিখার জন্য, তাহলে আমরা এখানে লিখব নেম
দেখুন এখানে নেম লিখার সাথে সাথে টাইপ অপশনের ঘরে নিউমেরিক এসেছে, এই টাইপ অপশনের আলোকে আমাদের কে ডাটা ভিউতে তথ্য ইনপুট করতে হবে ।  দেখুন এখানে নামের যায়গায় যদি নিউমেরিক থাকে, তাহলে আমরা ডাটা ভিউতে অক্ষর দিয়ে নাম লিখতে পারব না । তাই আমাদের কে এখানে টাইপ অপশনটি নিউমেরিক হতে পরিবর্তন করে স্ট্রীং সিলেক্ট করতে হবে । 

ধরুন তথ্য ইনপুটের জন্য তার পরের অপশনটি আমরা দিলাম Gender , ধরুন আমরা ডাটা ইনপুটের সুবিধার্থে ডাটা পেজেও বার বার মেল ফিমেল লিখার চাইতে ১/২ সংখ্যা দিয়ে ইনপুট করতে চাই , তাহলে এই অপশনটি আমরা ডাটা পেজে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করব, তাহলে আমরা এখানে নিউমেরিকই রেখে দিলাম ।  আর এতে আমাদের পরবর্তী কাজেও সুবিধা হবে ।
আর যে লেবেল এর ঘর টি রয়েছে এতে আমরা, এই অপশন টির অন্য কোন নাম দিতে পারি বা ব্যাখ্যা মূলক কিছু লিখতে পারি ।
আর এখানের এই লেবেলের ঘরের অপশনটি এ জন্যই যে, এখানে এ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজন হলে, প্রয়োজনীয় ছোট কোন পয়েন্ট বা নোট লিখার জন্যই ।
ধরুন, আমরা এখানে লিখলাম মেল অর ফিমেল ।
যখন আমরা ডাটা পেজে জেন্ডারের অপশনটি বসাব, তখন যাতে ১/২ লিখলেই সহজেই মেল বা ফিমেল শো করে তাই আমরা এই Values এর ঘরে ভ্যালু বসাব, মানে ১ এর ভ্যালু কি ? ১ মানে কি ? বা ২ মানে কি ?
 




যেমন ভ্যালু এর ঘরে ক্লিক করার পর ডান পার্শ্বে যে থ্রিডট এসেছে এখানে ক্লিক করার পর, যে নতুন ইউন্ডো এসেছে, এখানে আমরা প্রথমে ভ্যালু এ্যড করব, যেমন ১, আর লেবেলের ঘরে আমরা এই ভ্যালু’র নাম বা লেবেল দিব, যেমন ১ মানে Male, তাহলে আমরা লেবেলের ঘরে লিখলাম Male. এখন আমরা Add এ ক্লিক করব ।  এখন আমাদের প্রথম ভ্যালু যোগ হয়ে গিয়েছে ।  তাহলে এখন আমরা ২য় ভ্যালু যোগ করব একই নিয়েমে, ভ্যালু’র ঘরে লিখলাম ২, লেবেলের ঘরে লিখলাম Female, তারপর Add . ব্যাস জেন্ডার অপশনে আমাদের ২টি ভ্যালু এ্যাড করা কমপ্লিট হয়ে গেছে, এবার OK ক্লিক করলেই ভ্যালু এ্যাড করা শেষ ।
চাইলে পরবর্তীতেও এ ভ্যালুগুলোর নাম পরিবর্তন করা যাবে, বা কোন ভ্যাল এড করা যাবে, বা কোনটি বাদ দেওয়া যাবে

চলুন, তাহলে এবার আমরা দেখে নেই আমাদের ডাটা ভিউতে কেমন দেখা যায়, আর আমরা কিভাবে ডাটা ইনপুট করি । 
তাহলে আমরা এখন ডাটা ভিউ তে ক্লিক করলাম ।  দেখুন ডাটা ভিউতে এখন শুধু মাত্র ২ টি অপশনই যোগ হয়েছে, আর কোন অপশন যোগ হয়নি ।  একটি হলো নামের অপশন, আরেকটি হল জেন্ডারের অপশন ।  আমরা এভাবে Variable View তে আমাদের ডাটা ইনপুটের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আরো অনেক অপশন যোগ করতে পারব এবং Data View তে ওই অপশনগুলোর আলোকে ডাটা ইনপুট করতে পারব । 
অথবা চাইলে আগে ডাটা ইনপুট করেও পরে Variable View তে গিয়ে অপশনের নাম দেয়া যাবে ।
তাহলে চলুন আমরা এখন Name এবং Gender অপশনে কিছু ডাটা ইনপুট করি ।
যেমন : 


এখন যদি আমরা উপরের Help লিখার নিচের ‘এ ওয়ান’ ছবি সহ এই বাটন টিতে ক্লিক করি তাহলে আমরা জেন্ডার অপশনে ১/২ এর পরিবর্ত Male/Female লিখা দেখতে পাব ।


তাহলে এবার চলুন আমরা আবার এ সকল শিক্ষার্থীদের জন্ম তারিখ যোগ করব ।
দেখুন আমরা Variable View তে অপশন যোগ করার আগেও Data View তে ডাটা ইনপুট করতে পারি, যেমন আমরা এখানে শিরোনামে জন্ম তারিখ লিখার আগেই, এখানে জন্ম তারিখগুলো ইনপুট করে দিচ্ছি ।
আচ্ছা এবার আমরা Variable View তে গেলাম, এখন আমাদের এই যে ৩ নম্বর অপশনটি এটি ডাটা ভিউ তে যে নামে ছিল, এখানেও সে নামেই আছে, আমরা একে চেন্জ করে Date_of_Birth লিখে দিচ্ছি । বুঝতেই পারছেন যে, কেন এভাবে আন্ডার স্পেস দিয়ে লিখলাম, কেননা এই নেম এর ঘরের স্পেসে লিখার ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক শব্দ লিখতে গেলে মাঝে ফাঁকা রাখা যায় না।
দেখুন এখানে এখন আমরা Type এর ঘর হতে জন্ম তারিখ লিখার জন্য নির্দিষ্ট টাইপ খুজে নিব । এভাবে আমরা যখন যে অপশন যোগ করব, তখন তার জন্য উপযুক্ত টাইপ বেছে নিব । তাহলে আমরা আগের মত Type এর ঘরের ডান পার্শ্বের থ্রি ডট এ ক্লিক করে, ডেট এর জন্য Date অপশনটি বাছাই করে নেই । ডেট অপশনটি বাছাই করার সাথে সাথে আমরা ডান পাশ্ব হতে ডেট লিখার জন্য আমাদের পছন্দ অনুযায়ী ফরমেট সিলেক্ট করতে পারি । তাহলে এখানে আমরা প্রথমটিই নিচ্ছি যেহেতু প্রথমটির আলোকেই আমরা ডেটগুলো বসিয়েছিলাম । তারপর OK
এখন ডাটা ভিউ তে দেখুন অটোমেটিকভাবেই আমাদের বসানো সংখ্যা অনুযায়ী ডেট এর ঘরে মাসের নাম চলে এসেছে । 

এবার আমরা Variable View তে আরেক টি অপশন যোগ করব, শিক্ষার্থীদের উচ্চতা সংশ্লিষ্ট তথ্য গুলো ইনপুট করার জন্য ।
তাহলে আমরা ভেরিএবল ভিউ এর নামের অংশে লিখলাম, Height
এ ঘরে যেহেতু আমরা শিক্ষার্থীদের উচ্চতা সংক্রান্ত সংখ্যা বসাব তাই টাইপের ঘরে নিউমেরিক ই রেখে দিলাম ।
এবার আমরা ডাটা ভিউ তে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কার কত উচ্চতা তা ইনপুট করি ।
আমরা শিক্ষার্থীদের Height গুলো মি. মি. আকারেই ইনপুট করছি । 

এখন দেখুন আমরা যদি উচ্চতা অনুসারে শিক্ষার্থীদের এই লিস্ট কে সাজাতে চাই, অথবা Gender এর আলোকে অথবা অন্য কোন কিছুর আলোকে, তাহলে আমাদের কে যেতে হবে উপরের View এর ডান পার্শ্বে Data অপশনে, সেখান থেকে Sort Cases


Sort Cases এ ক্লিক করার পর এমন একটি ইউন্ডো আসবে, এখান থেকে আমাদের কে বাছাই করতে হবে কিসের ভিত্তিতে আমরা এই লিস্ট টি সাজাবো, তার উপর ভিত্তি করে আমরা বাম পাশের ঘর হতে সিলেক্ট করে ডান পাশের এ্যারো চিন্হ ক্লিক করে ডান পাশের ঘর যটিতে Sort by লিখা রয়েছে, তাতে নিয়ে আসবো ।
তারপর আমরা Sort Order হতে বাছাই করব, কিভাবে লিস্ট টি হবে উপর হতে নিচে নাকি নিচ হতে উপরে ।
তাহলে আমরা Height কে সিলেক্ট করলাম, আর Order এ সিলেক্ট করলাম Descending.  তারপর Ok

দেখুন ডাটা ভিউ তে আমাদের অর্ডার অনুযায়ী লিস্ট টি পরিবর্তিত রুপে সেজেছে। 


এভাবে আমরা লিস্ট টি কে অনেক শত শত ডাটা ইনপুট করার পরও আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারব ।
এখন আমরা আমাদের এই ডাটা গুলো হতে প্রয়োজন অনুযায়ী Analyze করে বিভিন্ন ফলাফল পেতে পারি সুবিন্যস্ত করতে পারি, যা আমাদের গবেষণা ও জরিপের রেজাল্টের জন্য খুব সুন্দর সাজানো ফলাফল দিবে।
 তো চলুন দেখি কিভাবে করা যায়, তার জন্য আমাদের কে যেতে হবে উপরের Transform অপশনের ডান পাশ্বের Analyze অপশনে গিয়ে সেখান থেকে Descriptive Statistics হতে আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা কি ব্যাসিসে ফলাফল চাই সে অনুপাতে Frequencies অথবা Descriptive সিলেক্ট করতে পারি ।

ধরুন আমরা ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাসিসে ফলাফল চাই তাহলে, তাহলে Frequencies সিলেক্ট করলাম, তার পর যে ইউন্ডো টি আসবে, সেখানেও আগের মতই বাম পাশের ঘর হতে আমরা অপশন গুলো এক এক করে ক্লিক করে দুই ঘরের মাঝের এ্যারো চিন্হ ব্যাবহার করে ডান পাশের Variable ঘরে নিয়ে আসবো যে অপশনগুলোর উপর ভ্যারি করে আমরা আমাদের ডাটা’র আলোকে পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ সুবিন্যস্ত আকারে পেতে চাই সে অপশনগুলো নিয়ে আসবো ।
তাহলে এখানে আমরা দুটি অপশন নিলাম, একটি হল Gender এবং অন্য টি হলো Height 


এখন এখানে Variable ঘরের ডান পার্শ্বে উপরে যে Statistics অপশন টি রয়েছে তাতে ক্লিক করে আমরা আমাদের ফলাফলে কি কি পরিসংখ্যানিক রেজাল্ট পেতে চাই তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় ।
এখন এখান হতে আমরা Statistics এর কি কি অপশনের আলোকে ফলাফল চাই তা নির্ধারণ করে দিতে পারব ।
যেমন আমরা সিলেক্ট করলমা Mean, Range, Minimum, আর Maximum এই চারটি অপশন ।
তারপর Continue তে ক্লিক করলাম ।

তারপর আবার পূর্বের ইউন্ডো তে  ফিরে আসলাম, এখন আমরা আমাদের ফলাফল গুলোতে সাথে সাথে বিভিন্ন চার্ট যোগ করতে পারি, তারজন্য আমাদের কে Charts অপশনে ক্লিক করতে হবে, এখান থেকে আমরা সিলেক্ট করব, আমরা কি ধরনের চার্ট ব্যাবহার করব ।
যেমন আমরা সিলেক্ট করলাম Pie Charts তারপর আমাদের চার্টে কি দেখাবে, পার্সেন্টিজ না ফ্রিকোয়েন্সি ? আমরা সিলেক্ট করলাম Percentage তারপর Continue 


এভাবে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন Charts, Format, Style, etc সিলেক্ট করে তারপর Ok তে ক্লিক করব ।
ওকে তে ক্লিক করার পর যেখানে চার্ট, স্টাইল সহ আমরা যা যা সিলেক্ট করেছিলাম সবকিছু সহ সুবিন্যস্ত আকারে ফলাফল আসবে ।
এই ফলাফলগুলো হতে আমাদের প্রয়োজন মত বিভিন্ন টেবিল, তথ্য গুলোর গ্রাফ, চার্ট, তথ্য ইত্যাদি তে রাইট বাটন ক্লিক করে কপি করে নিয়ে আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা পাওয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি তে ব্যাবহার করতে পারি, যা আমাদের জরিপ বা গবেষনার ফলাফল লেখা তে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি ।

অথবা সম্পূর্ণ Output এর এই ফলাফল টি আমরা আমাদের সুবিধা মত ওয়ার্ড, এক্সেল বা পাওয়ার পয়েন্টেও নিতে পারি , তার জন্য আমাদের কে এই ইউন্ডো এর File অপশনে গিয়ে Export এ যেতে হবে । 


তারপর যে ইউনডো টি আসবে সেখান থেকে Document এর Type হতে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী Ward, Excel, Power point, ইত্যাদি অপশন সিলেক্ট করে কম্পিউটারের সুবিধা মত স্থানে সেভ করে পরে তা ward, excel., power point ইত্যাদি তে ব্যাবহার করা যাবে ।  তারপর Ok

তারপর সেভ করা আমাদের ওয়ার্ড বা এক্সেল ইত্যাদি ফাইল টি খুলে তার মধ্যে বা তার থেকে প্রয়োজনীয় অংশ আমরা আমাদের জরিপ বা গবেষণা পত্রে নিতে পারি, ব্যাবহার করতে পারি ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন, এভাবে আমরা আমাদের জরিপ বা গবেষণা সংক্রান্ত ফলাফল গুলোকে করে তুলতে পারি আরো নিঁখুত এবং ঝকেঝকে সৌন্দয্য মন্ডিত । পরবর্তী পর্ব গুলোতে থাকছে SPSS  এবং পরিসংখ্যানের আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ।
যা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা কে করে তুলবে আরো নিঁখুত ও আকর্ষণীয় । আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।
এই পর্বে কোন ভুল থেকে থাকলে বা কোথায় কোন বুঝতে অসুবিধা হলে বা কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দিধায় কমেন্টে লিখার জন্য অনুরোধ করছি ।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment